মো. রবিন খান
প্রকাশ: ১১:৪৯, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
মো. রবিন খান। ছবি: ডেইলি দর্পণ
দীর্ঘ ১৭ বছর, বলা যায়- একটি প্রজন্মের সময়। এই দীর্ঘ সময়ে বাংলাদেশ দেখেছে ভয়, দেখেছে অন্যায়, সেখানে অন্যায়ের বিরুদ্ধে বারবার মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
যখন রাজনীতি মানে ছিল সুবিধা, তখন আমরা করেছি আদর্শের রাজনীতি। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শের রাজনীতি। যখন অন্যরা চুপ থেকেছে, তখন ছাত্রদলের তরুণরা বুক পেতে দিয়েছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে। আমি নিজে ফিরে এসেছি মৃত্যুর কোল থেকে বারং বার। সহযোদ্ধা, বন্ধু, আত্মীয়-স্বজন থেকে পরিবার সবার কাছে পৌঁছে গিয়েছিল আমার মৃত্যুর খবর! কিন্তু মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সেই যাত্রায় বেঁচে ফিরেছি। স্বপ্ন ছিল এ দেশ একদিন ফ্যাসিস্ট মুক্ত হবে, সেই স্বপ্ন রাজপথে থেকেই বাস্তবায়ন আমরা করতে পেরেছি।
আজ এই সময়ে দাঁড়িয়ে আমরা স্মরণ করি সেইসব অকুতোভয় নেতা-কর্মীদের, যারা নিজের ভবিষ্যৎ হারিয়েছে, জেল খেটেছেন, রাজপথে রক্ত দিয়েছে, কিন্তু পিছু হটেনি ন্যায়ের পথ থেকে। তারা প্রমাণ করেছে গণতন্ত্রের আলো নিভিয়ে রাখা যায় না, আদর্শের সৈনিককে ভীত করা যায় না!
আমাদের কাছে ছাত্রদল কেবল একটি সংগঠন নয়, একটি প্রতিজ্ঞা, বিশ্বাস। আমি মনে করি অন্যায়ের বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্মের অগ্নিশপথ! সেই শপথকে পুঁজি করেই আমাদের সংগ্রামের মূলে ছিল ত্যাগ, সাহস আর দেশের প্রতি, মানুষের প্রতি, স্বাধীনতার প্রতি ভালোবাসা।
তাই আজ আমরা বলি, জেল-জুলুমে ভাঙিনি, নিপীড়নে হার মানিনি! আমরা ছাত্রদল, আমরা বিশ্বাস করি সত্যের জয় হবেই, বিশ্বাস করি- নতুন প্রভাত একদিন আসবেই। যেখানে ছাত্র রাজনীতি মানেই হবে আদর্শ, জ্ঞান আর মানব সেবা।
সবশেষে বলতে চাই, ১৭ বছরে আমরা শুধু লড়িনি, আমরা ইতিহাস লিখেছি! যার শেষটা হয়েছে ২৪ এর গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্টদের বিতাড়িত করার মধ্য দিয়ে। এর পেছনের ইতিহাস ত্যাগের, এই ইতিহাস সাহসের, এই ইতিহাস বাংলাদেশের গণতন্ত্র রক্ষার ইতিহাস! এই গণতন্ত্র মুক্তি পাবে একটি অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে। আর সেই নির্বাচনেও আমরা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা সর্বোচ্চ মেধা ও শ্রমের প্রয়োগ করব, ইনশাআল্লাহ।