প্রকাশ: ২৩:১১, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
প্রকাশ: ২৩:১১, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
ছবি : সংগৃহীত
শেষ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৮ রান। বাংলাদেশের হয়ে বল করেছিলেন নাহিদা। তার প্রথম বলেই চার মেরে সমীকরণ সহজ করেন ডে ক্লার্ক। পরের বল ডট হলেও তৃতীয় বলে ছক্কা হাঁকিয়ে মাত্র ৩ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করেন ক্লার্ক। ৩ উইকেটের এই হারের পর বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে বাংলাদেশের অবস্থান কঠিন হয়ে গেছে।
বিশাখাপত্তমে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৩২ রান করে। দলের হয়ে অপরাজিত ফিফটি করেন স্বর্ণা। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভার ৩ বলে ৭ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
২৩৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় প্রোটিয়া দল। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে আক্রমণে এসে প্রথম বলেই উইকেট পান নাহিদা। এই অভিজ্ঞ স্পিনারকে ফিরতি ক্যাচ দেন তাজমিন ব্রিটস।
৩ রানে প্রথম উইকেট হারালেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা। উইকেটে থিতু হয়ে থাকা লরা উলভার্ট ৩১ রান করে রান আউট হয়ে ফিরেন। অধিনায়ক ফেরার পর দ্রুত আরও তিন উইকেট হারায় তারা।
৭৮ রানের মধ্যে ৫ উইকেট তুলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে মারিয়ানা কাপ ও চার্লি ট্রায়ন ৮৫ রানের জুটি গড়ে দলের আশা ফিরিয়ে দেন। ৫৬ রান করে কাপ আউট হলে ভেঙে যায় জুটি। ট্রায়ন অপরাজিত ৬২ রান করেন।
শেষদিকে দারুণ ব্যাটিং করেন ডে ক্লার্ক। ২৯ বলে ৩৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি এবং দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
বাংলাদেশের ব্যাটিং শুরুতে ওপেনার রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক ও ফারজানা হক সাবধানীভাবে খেলেন। যদিও রান রেট কিছুটা কম ছিল, তবে ভালো শুরু হয়। উদ্বোধনী জুটিতে ঝিলিক ৫২ বলে ২৫ রান করে ফিরলে জুটি ভেঙে যায়। ফারজানা ৭৬ বলে ৩০ রান করেন।
তিনে নেমে শারমিন আক্তার দুর্দান্ত ব্যাট করেন। নিগার সুলতানা জ্যোতিকে সঙ্গে নিয়ে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৭৭ রান যোগ করেন। অধিনায়ক ৪২ বলে ৩২ রান করেন।
স্বর্ণার দ্রুততম ফিফটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ে। জ্যোতি ফিরলেও শারমিন ৭৪ বলে ফিফটি তুলে দলের ভিত শক্ত করেন। তবে সবচেয়ে আলোচনায় থাকলেন স্বর্ণা। ব্যাটিং অর্ডারে পাঁচে খেলানো হলে মিডল অর্ডারে তিনি দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখান। মাত্র ৩৪ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি স্পর্শ করেন, যা বাংলাদেশের নারী ওয়ানডে ইতিহাসে দ্রুততম। শেষ দিকে স্বর্ণার সঙ্গে রান উৎসবে যোগ দেন রিতু মণি। ৮ বলে অপরাজিত ১৯ রান করেন তিনি।