রাজনীতি ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫:১৫, ৬ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১৬:৫০, ৬ নভেম্বর ২০২৫
ভোলা-১ আসনে লড়বেন আন্দালিভ রহমান পার্থ।ছবি: সংগৃহীত
পৃথক দল গঠনের ২৪ বছর পর এই প্রথম দলীয় প্রতীক গরুর গাড়ি নিয়ে ভোলা-১ আসনে নির্বাচন করার ঘোষণা দিলেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থ। এর আগে ২০০৮ সালে তিনি বিএনপি জোট থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেছিলেন। ২০১৮ সালে ঢাকা-১৭ থেকেও ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেন। গরুর গাড়ি প্রতীকে ভোট চেয়ে বুধবার ভোলা জেলা সদরে দলীয় নেতাকর্মীরা মিছিল ও শোডাউন করে নিজেদের পৃথক অবস্থানের জানান দেন।
২০০১ সালের ৫ আগস্ট জাতীয় পার্টি (এরশাদ) থেকে পৃথক হয়ে বিজেপি সৃষ্টি করেন ওই সময়ের জাতীয় পার্টির মহাসচিব সাবেক মন্ত্রী নাজিউর রহমান মঞ্জু। নতুন দল গঠনের পর দলের চেয়ারম্যান হন তিনি। মঞ্জুর মৃত্যুর পর দলের চেয়ারম্যান হন বড় ছেলে ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থ। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন না করায় ওই দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও ভুলতে বসেন তার দলের প্রতীক কি।
জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মোতাছিন বিল্লাহ বলেন, তাদের দলের প্রতীক রয়েছে। তাই বিএনপির মনোনয়নের ওপর নির্ভর না করে নিজ দলের থেকে তাদের দলীয় চেয়ারম্যান নির্বাচন করার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন। এ ঘোষণাকে তৃণমূলের কর্মীরা সাধুবাদ জানান।
ভোলা নতুন বাজারে বিজেপি কার্যালয় চত্বরে বুধবারের সমাবেশে দলের জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম বলেন, ব্যারিস্টার পার্থর বাবাকে যেমনি ভোলার মানুষ ভালোবাসতেন, তেমনি তাকেও (পার্থ) ভালোবাসেন। তাই ভোলার মানুষ এবার গরুর গাড়ি প্রতীকেই ভোট দেবেন।
এ সময় আরও বক্তৃতা করেন, সদর উপজেলা বিজেপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক মো. নুরন্নবী, জেলা যুব সংহতির সভাপতি নূরে আলম টিটু, শ্রমিক পার্টির সভাপতি জামাল উদ্দিন সকেট। সকাল থেকে নেতাকর্মীরা নতুন বাজার দলীয় কার্যালয় চত্বরে জড়ো হন। পরে শহরে মিছিল করেন।
ভোলা-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন বিষয়কে সামনে রেখে শনিবার বিএনপি ও বিজেপির পৃথক শোডাউনকে কেন্দ্র করে হামলা, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, বিজেপি অফিস ভাঙচুর করা হয়। ওইদিন উভয় দলের প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। এমন সংঘাতময় পরিস্থিতিতে বিএনপির উপজেলা কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। এর দুদিন পরই ভোলা-১ আসনে জোটের দল হিসাবে বিজেপিকে না দিয়ে এখানে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম নবী আলমগীরকে দলীয় প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। এতে উচ্ছ্বসিত হন বিএনপির মাঠের নেতাকর্মীরা। অপরদিকে নিরাশ হন বিজেপির নেতাকর্মীরা। অবশেষে দলীয় কর্মীদের চাঙা রাখতে নিজ দল থেকে নির্বাচন করার ঘোষণা দেন দলের চেয়ারম্যান পার্থ। এছাড়া এ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মাওলানা মো. নজরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাওলানা ওবায়দুর রহমান বিন মোস্তফা।