রাজনীতি ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪:৫১, ৬ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১৬:৫৪, ৬ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশ জামায়াতের নায়েবে আমির।ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের সরকারের উদ্দেশ্যে বলেছেন, সোজা আঙুলে যদি ঘি না উঠে তাহলে আঙুল বাঁকা করা হবে তবুও আমাদের ঘি লাগবেই। তিনি বলেন, আমরা আপনাদের চালাকি বুঝি। আপনাদের চালাকির ভিত্তিতেই দাবি আদায়ের পন্থাও আমরা আবিষ্কার করবো। আমরা এখানো নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় আন্দোলনে আছি।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) পৌনে ১২ টায় পল্টন মোড়ে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলোর নেতাদের উপস্থিতিতে এসব কথা বলেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় যমুনার অভিমুখে যাত্রা শুরু করে জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য আটটি রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম, জুলাই আগস্টের রক্তই হবে শেষ রক্তদান। এইসময়ের শাহাদাতই হবে শেষ শাহাদাত। আমরা আশা করেছিলাম, জুলাই বিপ্লবের পরে দাবি আদায়ে আর রাজপথে নেমে আসতে হবে না। কিন্তু আমরা আশাহত হয়েছি। অল্প সময়ের ব্যবধানেই আমাদের রাজপথে আসতে হয়েছে।’
তাহের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘আমরা রাজপথে এসেছি, প্রয়োজনে রক্ত দেব, প্রয়োজনে জীবন দেব, কিন্তু আমরা জুলাই বিপ্লবকে ব্যর্থ হতে দেব না। ষড়যন্ত্রকারীদের পরাজয় হবে। জুলাই সনদ বাংলার মাটিতে হুবহু সেটাই আইনি ভিত্তি দিতে সংবিধানে অন্তর্ভূক্ত করা হবে, ইনশাআল্লাহ।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা চালাকি শুরু করেছেন। এই বলবো, সেই বলবো বলে জাতীয় নির্বাচনের সময় ফেব্রুয়ারির কাছাকাছি চলে আসছেন। আমরা আপনাদের চালাকি বুঝি। আপনাদের চালাকির ভিত্তিতেই দাবি আদায়ের পন্থাও আবিষ্কার করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয়ত- কথা, সময়ক্ষেপণ! এই চালাকি আপনাদের বিপদে ফেলবে। গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগেই হতে হবে। জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরও গণভোট আয়োজনে কোনো বাঁধা নাই। সুতরাং সময় আছে। আরও ১৫ দিন সময়ক্ষেপণ করবেন? করেন, গণভোটের সময় থাকবে। সুতরাং যা বোঝাতে চাই বুঝে নিন। নো হাংকি পাংকি।’
তাহের বলেন, ‘শুধুই বলেন- গণভোট আয়োজনে নাকি অনেক টাকা খরচা হবে। একদিনে যে পরিমাণ চাঁদাবাজি হয় তা দিয়ে একটা গণভোট আয়োজন করা যায়। প্রত্যেকদিন একটা করে গণভোট আয়োজন করলেও সমস্যা হবে না। তাই সরকারকে বলবো, আর যারা চাঁদাবাজিতে জড়িত তাদের বলবো, এসব বন্ধ করেন, তাহলে গণভোট আয়োজনে টাকার অভাব হবে না।’
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আজকে স্মারকলিপি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে দেবার পরও যদি দাবি মানা না হয়, অবস্থার উন্নতি না হয় তাহলে আগামী ১১ তারিখ চলো চলো ঢাকা চলো কর্মসূচি।