আন্তর্জাতিক প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:১৯, ১ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ০৩:৩০, ১ নভেম্বর ২০২৫
অস্ট্রেলিয়ার আসন্ন সোশ্যাল মিডিয়া নিষেধাজ্ঞার কারণে বেক এবং বেক লি তাদের পরিবারকে যুক্তরাজ্যে স্থানান্তরিত করছেন। ছবি: সংগৃহীত
অস্ট্রেলিয়ার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া পরিবার ‘এম্পায়ার ফ্যামিলি’ দেশটির নতুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষেধাজ্ঞা এড়াতে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমাচ্ছে।
চার সদস্যের এই পরিবারটি—দুই মা বেক ও বেক লিয়া, ১৭ বছর বয়সী ছেলে প্রেজলি এবং ১৪ বছর বয়সী মেয়ে শার্লট—দৈনন্দিন জীবনের নানা মুহূর্ত নিয়ে ভিডিও তৈরি করে অনলাইনে শেয়ার করেন। তাদের ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম ও টিকটকসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে মিলিয়নেরও বেশি অনুসারী রয়েছে।
ডিসেম্বরে কার্যকর হতে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ার নতুন আইনে ১৬ বছরের কম বয়সীদের ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক, স্ন্যাপচ্যাট, এক্স (টুইটার) ও ইউটিউবে অ্যাকাউন্ট খোলা নিষিদ্ধ করা হবে। এছাড়া বিদ্যমান অ্যাকাউন্টগুলোও বন্ধ করতে কোম্পানিগুলোকে “যুক্তিসঙ্গত পদক্ষেপ” নিতে হবে। আইন অমান্য করলে সর্বোচ্চ ৫ কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার (প্রায় ৩২.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) জরিমানা হতে পারে।
সরকার বলছে, কিশোর-কিশোরীদের অনলাইন ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সুরক্ষিত রাখতেই এ পদক্ষেপ। তবে কীভাবে এই আইন বাস্তবায়ন করা হবে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। সম্ভাব্য উপায় হিসেবে সরকার পরিচয়পত্র যাচাই, পিতামাতার অনুমোদন ও ফেস রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা বলেছে—যা নিয়ে গোপনীয়তা ও তথ্যনিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ উঠেছে।
পরিবারের সদস্য বেক বলেন, “আমরা জানি এই আইন তরুণদের সুরক্ষার জন্য, কিন্তু আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করি ইতিবাচক কাজে। আমরা জানি অনেক তরুণ সোশ্যাল মিডিয়ার নেতিবাচক প্রভাবে ভোগে, তবে সবাই যে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তা নয়।”
তিনি আরও জানান, সরকার এখনো নিয়মটি কীভাবে কার্যকর করবে তা স্পষ্ট করেনি। “এখনো অনেক প্রশ্ন বাকি, তাই যুক্তরাজ্যে থাকলে আমরা কিছুটা নিরাপদ থাকব যতক্ষণ না অস্ট্রেলিয়া এই আইনটির পূর্ণ কাঠামো তৈরি করে।”
পরিবারের আরেক সদস্য বেক লিয়া বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়া এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি বদলে গেছে, এবং এখন অনেক তরুণই ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে।”
দুই দেশেরই নাগরিক হওয়ায় এবং মেয়ে শার্লটের অনলাইন পড়াশোনায় যাওয়ার সিদ্ধান্তের কারণে পরিবারটি যেকোনো জায়গা থেকে কাজ করতে পারছে।
শার্লট, যিনি অনলাইনে “চার্লি” নামে পরিচিত, ইউটিউবে প্রায় ৫ লাখ, টিকটকে ৩ লাখ এবং ইনস্টাগ্রামে ২ লাখ অনুসারী পেয়েছেন। তার অ্যাকাউন্টগুলো তত্ত্বাবধান করেন তার বাবা-মা।
এম্পায়ার ফ্যামিলির সবচেয়ে বড় উপস্থিতি ইউটিউবে—ছেলে প্রেজলির ব্যক্তিগত চ্যানেলে ২.৮ মিলিয়ন এবং পারিবারিক চ্যানেলে রয়েছে ১.৮ মিলিয়ন অনুসারী। তারা মূলত মেকআপ টিউটোরিয়াল, গেমিং সেশন ও পারিবারিক ভ্রমণের ভিডিও তৈরি করে থাকেন।