বাকৃবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১:২৪, ২৬ নভেম্বর ২০২৫
ছবি: ডেইলি দর্পণ
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের প্রথম ইন্টার্নশিপ কর্মসূচির সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১১টায় সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিন মাসব্যাপী ইন্টার্নশিপে অংশগ্রহণকারী ১০৯ জন শিক্ষার্থীকে সনদ প্রদান করা হয়।
মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমান, কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জি এম মুজিবর রহমান, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. জোয়ার্দ্দার ফারুক আহমেদসহ অন্যান্য বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য দেন অ্যাকুয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ও ইন্টার্নশিপ ম্যানেজমেন্ট কমিটির কো-অর্ডিনেটর ড. মো. আলী রেজা ফারুক। এসময় তিনি ইন্টার্নশিপের বিভিন্ন স্থান, শিক্ষার্থীদের সেখানে পাঠানোর প্রয়োজনীয়তা এবং মৎস্য ক্ষেত্রের উন্নয়নে শিক্ষার্থীদের অবদান নিয়ে আলোচনা করেন।
ইন্টার্নশিপ চলাকালীন শিক্ষার্থীরা মাঠ পর্যায়ের যেসব কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন, সেগুলো উপস্থাপন করেন ফিশারিজ বায়োলজি ও জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. তাসলিমা খানম। এরপর ইন্টার্নশিপ সম্পন্নকারী শিক্ষার্থীরা তাদের অর্জিত অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্নাতকের ফলাফলের ভিত্তিতে তিনজনকে ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন: হাসিবুল হাসান বিজয়, মো. শাখাওয়াত হোসেন এবং মোছা. রাফিয়াতুল জান্নাত রিফা।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীদের জন্য এটি একটি নতুন মাত্রা। আমাদের শিক্ষার্থীরা শুধু দেশে নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নেতৃত্ব দিবে। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে এ অনুষদের শিক্ষার্থীরা আগামী বছর থেকেই দেশের বাইরে ইন্টার্নশিপ করবে বলে আশা করছি। এর মাধ্যমে দেশের মৎস্য সম্পদ ও সম্ভাবনা ছাড়াও অন্যান্য দেশের বিষয়েও ধারণা পাবেন। দেশের মৎস্য সম্পদের উন্নয়ন এবং সংরক্ষণে আমাদের শিক্ষার্থীরা সর্বোচ্চ অবদান রাখবে। আমাদের যেনো এমন না করতে হয় যে ইলিশ মাছের চাহিদা পাঙ্গাস দিয়ে পূরণ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীরা শুধু বিসিএসের জন্য পড়বে না; তারা বিশ্বের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিবে। তাদের আন্দোলন হবে বুদ্ধিবৃত্তিক ও নিয়মতান্ত্রিক। নিজের অধিকার আদায়ে রেল আটকানো বা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা ঠিক নয়।’