ঢাকা, রোববার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

২৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

রাবিতে শিক্ষককে হেনস্তার অভিযোগ, প্রশাসন ভবনে তালা দিয়ে বিক্ষোভ

রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২০:০৪, ৩০ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ২০:২৩, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

রাবিতে শিক্ষককে হেনস্তার অভিযোগ, প্রশাসন ভবনে তালা দিয়ে বিক্ষোভ

ছবি: ডেইলি দর্পণ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রেজিস্ট্রারসহ প্রশাসনের দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষককে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে সিনেট ভবনে বিভাগের ছাত্রী সায়মা হোসাইনের মৃত্যুর প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট ঘোষণার সময় এই হেনস্তার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

এ ঘটনার প্রতিবাদে প্রশাসন ভবন তালাবদ্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করেছেন তারা। শিক্ষার্থীরা অভিযুক্তদের প্রকাশ্যে ক্ষমা ও বহিষ্কারের দাবিতে ক্লাস–পরীক্ষা বর্জন করে আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়েছেন।

এ সময় বিভাগের শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন— ‘প্রক্টরের দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে’, ‘এক দুই তিন চার, প্রক্টর তুই গদি ছাড়’, ‘আমার স্যার হেনস্তা কেন, প্রশাসন জবাব দে’, ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ ইত্যাদি।

এ ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ, প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান এবং জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সায়মার মৃত্যুর তদন্ত রিপোর্ট পাঠ শেষে প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান ও জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আমিনুল ইসলামকে হেনস্তা করেন। তদন্ত রিপোর্ট পাঠ শেষে প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকলেও শিক্ষার্থীদের কোনো প্রশ্ন গ্রহণ করা হয়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তদন্ত রিপোর্ট ঘোষণার সময় প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রশ্ন তুলতেই অভিযোগকারী শিক্ষককে বাধা দেন অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় সিনেট ভবনের ভেতরেই স্লোগান শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ও জনসংযোগ কর্মকর্তার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তারা সাড়া দেননি।

প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে ওই শিক্ষকের এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। সংশ্লিষ্ট শিক্ষকই ভালোভাবে বলতে পারবেন তার সঙ্গে এ ধরনের কিছু ঘটেছে কিনা।’

গত ২৬ অক্টোবর বিকেলে সায়মার আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনায় উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেন। উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যুর প্রাথমিক তদন্তের আশ্বাস দিলে সেদিন আন্দোলন প্রত্যাহার করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর টানা তিন দিন প্যারিস রোডে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে বিভাগের শিক্ষার্থীরা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশে বিলম্ব হলে আজ দুপুর সাড়ে বারোটার পর থেকে আন্দোলন শুরু করেন তারা।

এ সম্পর্কিত খবর